দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছিল বাংলাদেশের। বাকি দুদল পারেনি। শ্রীলংকা পেছনে পড়েছে, পাকিস্তান সিরিজের পর দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও টপকে গেছে টাইগাররা। রেকর্ডটি অবশ্য সুখের কিছু নয়। কুড়ি কুড়ির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হার এখন বাংলাদেশের।
এই সিরিজ শুরুতেও অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটির দুই নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। ১০৯ হার নিয়ে তালিকায় যৌথভাবে ছিল শ্রীলংকা। এক ম্যাচ বেশি হেরে শীর্ষ দখলে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ায় লিটন ব্রিগেড এখন ওই রেকর্ড একচ্ছত্র মালিক। ১৮৮ ম্যাচ টাইগারদের হার ১১২ ম্যাচে!
সবচেয়ে বেশি হারের তালিকায় দুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২১৬ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হার ১১০ টি-টোয়েন্টিতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই তালিকার পরেই শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার দেশটি ২০৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ১০৯ ম্যাচে। হারের সেঞ্চুরি পেরোনো তারিকায় পরের দুটিতে পাকিস্তান (১০৫ হার) ও জিম্বাবুয়ে (১০৩ হার)।
অবশ্য হারের এই রেকর্ডে টাইগারদের ঝুলিতে আরেকটি রেকর্ডও আছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি পরাজয়ের রেকর্ডটিও বাংলাদেশের। গত বছর ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারা ম্যাচ ছিল টাইগারদের ১০০ তম পরাজয়। এরপর থেকে টাইগার ব্রিগেড আরও ১৩টি ম্যাচ হেরেছে। এই সময়ে ১৫ ম্যাচ খেলে জিতেছে মোটে দুটিতে। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। মাঝের সময়ে বাংলাদেশের থেকে সিরিজ ছিনিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং এবার পাকিস্তান।
২০২৪ সালের মে থেকে আজ পর্যন্ত—এই সময়ে ১৫ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মোটে দুটি টি-টোয়েন্টি। বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি।
বাংলাদেশ সবশেষ সিরিজ জিতেছিল ২০২৪ সালে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপে গিয়ে ভরাডুবি দেখেছিল টাইগাররা। সেই থেকে শুরু, এখনও চলছে। সর্বোচ্চ হারের তালিকায় বাংলাদেশকে অনেক দিনই থাকতে হতে পারে। যদি না এ মাসে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে ক্যারিবিয়রা হারে। শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও সুযোগ কম। লঙ্কানরা জুলাইতে খেলবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। নিজেদের মাটিতে ৩ ম্যাচের ওই সিরিজে প্রতিপক্ষ আবার বাংলাদেশ।
এমন বিব্রতকর রেকর্ড কতদিন শীর্ষে থাকে লিটনরা, তা বলা মুশকিল বটে!
খুলনা গেজেট/এনএম